আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশে প্রার্থীদের জমা দেয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে। আর বাতিল হয়েছে ৭৩১ জনের মনোনয়ন। মনোনয়ন বাতিলের হারের দিক থেকে দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটি রেকর্ড।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী। এবার রেকর্ড ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনের রেকর্ড ২৬.৯১ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২৫.৬৪ শতাংশ, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ২০.৭৮ শতাংশ, ২০০৮-এর নির্বাচনে ২২.৬৮ শতাংশ, ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪.৩৭ শতাংশ, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩.৬৫ শতাংশ, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১.৪৫ শতাংশ, ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে ২.৩২ শতাংশ, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে ০.৩৪ শতাংশ এবং ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ০.৩৩ শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এবারের নির্বাচনে বৈধ ঘোষিত ও বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের তথ্য জানান।
তবে কোন দলের কতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বা কী কারণে বাতিল হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বাতিল হওয়া মনোনয়ন ফিরে পেতে ইসিতে আবেদন করা যাবে। তফসিল অনুসারে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে। ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ১ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী। তবে ওই নির্বাচনে ২৩০ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়, ৩৩৪ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ৫৪৩ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।