ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আসছে আরও একটি ট্রেন। এটি ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে। মাঝপথে যাত্রী নেবে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে। আবার কক্সবাজার থেকে ছেড়ে এসে চট্টগ্রামে যাত্রী নামিয়ে যাত্রা করবে ঢাকার উদ্দেশ্যে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে এই ট্রেন চালু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ট্রেনটির নাম কী হবে, তা এখনও ঠিক করা হয়নি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে এই তথ্য।
রেলওয়ে সূত্রে আরও জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বর্তমানে চলাচল করছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের একটি ট্রেন। এটিও ছাড়বে ঢাকা থেকে। চলতি মাস ডিসেম্বরের শেষের দিকে চলাচল শুরু করবে নতুন ট্রেনটি। যাত্রীর চাপ ও চাহিদা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনের নম্বর হবে ৮১৫। এটি চট্টগ্রামে বিরতি দিয়ে যাত্রী ওঠানামার পর ছাড়বে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের নম্বর হবে ৮১৬।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল কর্মকর্তা জানান, এই মাসের (ডিসেম্বর) শেষের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আরও একটি ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত যাত্রীর চাপ ও চাহিদার কথা বিবেচনার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এখনও এই ট্রেনের নাম ও ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। শুধুমাত্র সময়টি নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন ট্রেনের সময়সূচি
ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় ছাড়বে ট্রেন। চট্টগ্রাম এসে পৌঁছাবে সকাল ১১টায়। আধ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। ট্রেনটি কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে।
এরপর কক্সবাজার থেকে ট্রেনটি ছাড়বে রাত ৮টায়। এটি চট্টগ্রাম এসে পৌঁছাবে রাত ১২টায়। ট্রেনটি ভোরে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
তবে কোনো স্টেশন পর্যন্ত কত ভাড়া, তা ঠিক করা হয়নি।
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের একমাত্র ট্রেনটি চলাচল করছে। ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে এটি চট্টগ্রামে পৌঁছায় রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। এরপর ইঞ্জিন ঘুরিয়ে রাত ৪টায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে কক্সবাজার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এরপর কক্সবাজার পৌঁছায় সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে।
ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছাড়ে দুপুর ১টায়। এরপর চট্টগ্রাম পৌঁছায় বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা উদ্দেশ্য বিকাল ৪টায় ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছায়।
‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিতে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে এক হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া দুই হাজার ৩৮০ টাকা।
এছাড়া যেসব যাত্রী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাবেন, তাদের শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।
কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ ঢাকা থেকে সোমবার ও কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার।